কুবি প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) কোটা আন্দোলনকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক শিক্ষার্থীর উপর হামলা করেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। হামলার ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা হামলাকারীদের খুঁজতে লাটিসোটা নিয়ে বের হয়ে পড়েন।
হামলার শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম ফরহাদ কাউসার। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেন, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়ে অবস্থান করছি আসো খেলা হবে সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয়ে উঠে নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরহাদ রাত ৮ টায় টিউশন শেষে ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের কাছাকাছি আসলে তার বিভাগের সিনিয়র আসিফ এন্তাজ রাব্বি ডেকে নিয়ে যান। তার পথ অবরোধ করে তার মোবাইল ফোন চেক করে এবং কোটা আন্দোলনে কেন যায় তার জন্য শাসাতে থাকে। এসময় মোবাইলে তার ছবি দেখিয়ে বলে ‘এই বেটা এটা তুই নি? রাজাকার কারে বললি?’ বলে তাকে চড় ঘুসি দিতে থাকে। প্রথমে ছাত্রলীগ কর্মী রিয়াজ তাকে মারধর করেন। এসময় আরও ছিলেন পাভেল, তৌসিফ, রবি, আশিকুর রহমান রাফি, লামিম, অর্ণব সিংহ রায়, ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী ও মেসবাহুল হক শান্ত সহ কয়েকজন।
ফরহাদ কাউসার বলেন, আমি বাস থেকে নেমে হলে যাওয়ার সময় দত্ত হলের রিয়াজ, রবি, পাবেলসহ আরও কয়েকজন আমাকে পিছন থেকে ডাক দেয়। এরপর তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক কিনা। আমি না বলার পর তারা আমার ফোন চেক। সেখানে কোটা সংক্রান্ট একটা গ্রুপ দেখতে পেয়ে আমাকে বলে তুই তো কোটা আন্দোলন করোস, তুই তো স্লোগান দেস এসব বলে আমাকে মারধর করে। আমি এ ব্যাপারে প্রক্টরকে অভিযোগ দিব।
হামলাকারী রিয়াজকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
আকতারুজ্জামান পাভেল বলেন, আমি সেখান ছিলাম কিন্তু আমি মারিনি। ওই ছেলের বিভাগের বড়ভাই রাব্বি দেখলাম ওর ফোন চেক করতেছে। এরপর কে মারছে আমি ভিড়ের মধ্যে আর দেখিনি কিছু।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ না পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব না। প্রক্টরের কাজ কি সেটা জানতে চাইলে তিনি ধন্যবাদ দিয়ে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। ছাত্রলীগের বিষয় ছাত্রলীগ মীমাংসা করবে।